ধার শোধ করতে গিয়েই কপাল ফিরলো! ৬ টাকার লটারিতেই কোটিপতি ফাস্টফুড বিক্রেতা গোপাল চন্দ্র।

 

একটা প্রবাদ আছে আমরা সকলেই জানি কপাল ফিরতে সময় লাগে না,আর শনিবার এই মন্ত্রকে কাজে লাগিয়েই ফাস্টফুড বিক্রেতা গোপাল ৬ টাকার লটারিতে হয়ে গেলেন কোটিপতি। উত্তর ২৪ পরগনার হেলেঞ্চাই বাজারে ফাস্টফুড বিক্রেতা গোপাল পাওনাদারের দেনা মেটাতে লটারি কাটলেন বাজার থেকে, সেখান থেকে সমস্ত কাজ সেরে ফিরে আসার সময় একটি সিরিজ কেনেন হেলেঞ্চার ফাস্টফুট বিক্রেতা গোপাল আর তাতেই তার ভাগ্য খুলে যায় মাত্র কয়েক মিনিটের ব্যবধানে।

৬ টাকার টিকিটে কোটিপতি হলেন হেলেঞ্চার গোপাল!

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে গতকাল শনিবার হেলেঞ্চা বাজারের ফাস্টফুড বিক্রেতা গোপাল সরকার বাগদায় পাওনাদারের টাকা মেটাতে গিয়েছিলেন সেই মতো মালিকের ঘরে টাকা বুঝে ফিরে আসার সময় বাগদা বাজার থেকে 6 টাকার ডিয়ার লটারির একটি ফ্রিজ কেনেন সেই সময় করলে তার খরচ ছিল ১৫০ টাকা দুপুর একটা নাগাদ শুরু হয় খেলা। 

পরবর্তীতে নাম্বার মিলাতেই চক্ষু চরক গাছ গোপাল বুঝতে পারছে না যে তিনি কি করবে ছয় টাকায় জে তার ভাগ্য এইভাবে খুলে দিতে পারে সেই স্বপ্নেও ভাবেনি খুশির খবর জানার সাথে সাথে চোখের জল আর ধরে রাখতে পারেনি। তো খবর দেন তার স্ত্রী ও মা কে। স্বামী এক কোটি লটারি পাওয়ার সাথে সাথে খবর পেলেন ফ্রি এবং সেই সঙ্গে খুশির সাথে বিস্মৃত হয়ে গেলেন তিনি। বর্তমানে লক্ষী লাভ হওয়ার যথেষ্ট উচ্ছাসিত ছিল এই দম্পতির।

গোপালের কোটি টাকার পরিকল্পনা !

বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম গোপালকে চিকিৎসা করেন আপনি তো কোটি টাকা পেলেন এবার এই টাকা নিয়ে আপনি কি করবেন এর প্রসঙ্গে তার স্ত্রী জানান কোটি টাকার জিতে যাব আমরা স্বপ্নেও ভাবিনি। আমি সত্যি খুবই আনন্দিত। এই টাকা দিয়ে আমাদের ফাস্টফুডের দোকান ভালোভাবে সাজাবো বাজারে আর আশা করি বাকি জীবনটা এই টাকা দিয়ে ব্যাংকে ফিক্স করে আমরা সুখে শান্তিতে জীবন যাপন করতে পারব। একই মত লটারি উত্তর ২৪ পরগনার এই ভাগ্যবান বলেন আর্থিক অবস্থা খুবই খারাপ ছিল আমাদের ঋণের বোঝা মাথায় ছিল। সারাদিন ভাবতাম কিভাবে দুটো পয়সা ইনকাম করে দিনগুলোর দ্রুত শোধ করতে পারি। একেবারে আমার ঋণের বোঝা যেন মাথা থেকে কমিয়ে দিল লক্ষী দেখি আমার দোকানটাও খুব একটা ভালো ছিল না। দোকানটাও ভালোভাবে সাজাতে পারব।